মসজিদ আল আবেদিনে বার্ষিক বারবিকিউ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন অতিথিরা : নিউজ ডিপ্লোমেট
টরন্টোয় মসজিদ আল-আবেদিন, ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার অব কানাডা এর প্রধান ইমাম ও প্রিন্সিপাল মুফতি মুহাম্মদ আসলাম উদ্দিন আল-আজহারি বলেছেন, ইসলামের বার্তা সমাজের সর্বস্তরের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে মসজিদ আল-আবেদিনকে মুসলমানদের মিলনমেলার স্থানে পরিণত করতে চাই। এর মাধ্যমে টরন্টোয় মুসলিম কমিউনিটির মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ আরো সুদৃঢ় হওয়ার পাশাপাশি একটি সুশৃঙ্খল ও কল্যাণকর ইসলামিক সমাজ গঠনে সহায়ক হবে।
রবিবার মসজিদ আল-আবেদিনের বার্ষিক কমিউনিটি বারবিকিউ উপলক্ষে বাদ জোহর উপস্থিত মুসল্লীদের উদ্দেশ্যে তিনি একথা বলেন। বারবিকিউ পার্টি করার লক্ষ্য তুলে ধরে মুফতি আসলাম বলেন, মুসলমানদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ প্রতিষ্ঠাই আমার মুল লক্ষ্য। এধরণের অনুষ্ঠান মুসলিম সম্প্রদায়কে একত্রিত করে এবং একে অপরের প্রতি ভালোবাসা ও সহযোগিতার মনোভাব গড়ে তোলে। আজকের এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এখানকার পুরো কমিউনিটি একসঙ্গে একত্রিত হবে। একে অন্যের সঙ্গে পরিচয় ও ভ্রাতৃত্ববোধ গড়ে উঠবে।
তিনি বলেন, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.) এর দিক নির্দেশনা অনুযায়ি ইসলামের সঠিক শিক্ষা ও জীবনব্যবস্থা সকলের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য এরকম আয়োজনের মাধ্যমে পুরো কমিউনিটির ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব। তিনি বলেন, সারাবিশ্ব জুড়ে আজ মুসলমানরা চরমভাবে নিপিড়িত নির্যাতিত। এসব মোকাবেলায় আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে কুরআন ও সুন্নাহে বর্ণিত পথে পরিচালনা করতে সম্মিলিতভাবে এসব অনুষ্ঠান আয়োজন খুবই গুরুত্ব বহন করে। ইসলাম ও মসজিদের খেদমতে সবাইকে অগ্রণী ভুমিকা পালন ও সহযোগিতার হাত প্রসারিত করার আহ্বান জানান।
মসজিদ আল-আবেদিনের সামগ্রিক কার্যক্রম, উন্নয়ন ও অগ্রগতির বর্ণনা তুলে ধরে মহান আল্লাহর দরবারে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে মুফতি আসলাম ইসলামের খেদমতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। যেসব ভলন্টিয়াররা অক্লান্ত পরিশ্রম করে বারবিকিউ সফল করেছেন, তাদেরকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। উৎসবমুখর এই বারবিকিউ অনুষ্ঠানে টরন্টোর মুসলিম কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, সাংবাদিক, আইনজীবী, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, শিক্ষাবিদ, ব্যবসায়িসহ বিভিন্ন শ্রম ও পেশার ব্যাক্তিবর্গ ছাড়াও সর্বস্তরের হাজারো মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন।