অনুষ্ঠানে আত্মীয়-স্বজন ও বান্ধবি পরিবেষ্টিত হাইকমিশনার নাহিদা সোবহান
বিএনপি নেতাদের তৈলবাজিতে ব্যস্ত ছিলেন হাইকমিশনার নাহিদা সোবহান
কমিউনিটি নেতৃবৃন্দকে বাদ দিয়ে আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুবান্ধবদের আমন্ত্রণ
অটোয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন অনুষ্ঠান নিয়ে স্থানীয় বাংলাদেশি কমিউটিনির মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ না জানিয়ে হাইকমিশনার নাহিদা সোবহান একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের নেতাদের ও তার আত্মীয়-স্বজন এবং বন্ধুবান্ধবদের আমন্ত্রণ নিয়ে ব্যস্ত থাকায় এই প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। জানা গেছে, প্রায় সাড়ে তিনশতাধিক লোক আমন্ত্রণ জানানো হলেও উপস্থিত ছিলেন মাত্র দেড় শতাধিক।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত, কূটনৈতিক কোরের সদস্য, কানাডিয়ান সরকারি কর্মকর্তা এবং একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের একজন নেতার নেতৃত্বে কয়েকজন সদস্য এবং হাইকমিশনারের আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুবান্ধবরা উপস্থিত থাকলেও স্থানীয় অরাজনৈতিক বাংলাদেশি কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিরা অনুষ্ঠান বয়কট করেছেন।
অটোয়ায় বসবাসরত একজন বিশিষ্ট বাংলাদেশি ব্যবসায়ি এই প্রতিবেদককে জানান, আমাদের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় নেই। কিন্তু প্রতিবছর হাই কমিশনের বিভিন্ন অনুষ্টানে অটোয়ায় বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতৃত্বে থাকা বিশিষ্ট ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। হাইকমিশনের যে কোনো অনুষ্ঠানে আমরা সাধ্য অনুযায়ি আমাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেই। বর্তমান হাইকমিশনার নাহিদা সোবহানকে ‘বিতর্কিত’ অভিহিত করে বলেন, এবারই প্রথম অটোয়ায় বাংলাদেশি কমিউনিটির নেতৃত্বে থাকা অরাজনৈতিক বিশিষ্ট ব্যক্তিদের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। যে গুটি কয়েকজনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, তারাও বয়কট করেছেন।
সুত্র জানায়, হাইকমিশনার নাহিদা সোবহান কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিদের আমন্ত্রণের দায়িত্ব তিনি নিজেই নিয়েছেন। তিনি তার আত্মীয়-স্বজন, ইউনিভার্সিটি জীবনের বন্ধু বান্ধবদের আমন্ত্রণ করেছেন। অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে স্থানীয় বাংলাদেশি কমিউনিটি নেতৃবৃন্দকে বাদ দিয়েছেন। যা সর্বমহলে প্রচণ্ড ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।
সুত্র আরো জানায়, স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিদের বাদ দিয়ে হাইকমিশনার নাহিদা সোবহান ব্যস্ত ছিলেন কানাডা পুর্ব বিএনপির সভাপতি এজাজ আক্তার তৌফিকসহ স্থানীয় বিএনপি নেতাদের নিয়ে। মুলত অনুষ্ঠানে তিনি বাংলাদেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের চেয়ে এদেরকেই সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছেন। বিএনপি নেতৃবৃন্দকে খুশি করে তিনি অতীতের বিতর্কিত কর্মকাণ্ড চাপা দিতে ছিলেন খুবই তৎপর। সুত্র আরো জানায়, যথাযতভাবে আমন্ত্রণ না জানানোয় বিএনপির একটি প্রভাবশালী অংশও তার অনুষ্ঠান বয়কট করেছে।