Sunday, 14 September 2025
The News Diplomats
নিজস্ব প্রতিবেদক :
Publish : 11:01 AM, 01 September 2025.
Digital Solutions Ltd

নির্বাচনের সময় মব মোকাবেলায় ইসির প্রস্তুতি জানতে চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

নির্বাচনের সময় মব মোকাবেলায় ইসির প্রস্তুতি জানতে চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

Publish : 11:01 AM, 01 September 2025.
নিজস্ব প্রতিবেদক :

মবকারীর ৩০০ আসনে ভাগ হয়ে যাব, সুবিধা করতে পারবে না : মার্কিন দূতকে সিইসি
যুক্তরাষ্ট্র সরকার কোনো রাজনৈতিক দল, ব্যক্তি বা নির্দিষ্ট ফলাফলের প্রতি সমর্থন জানায় না
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন বলেছেন, জাতীয় সংসদে ৩০০ আসনের নির্বাচন একসঙ্গে হবে। তখন ওই ৩০০ জায়গাতেই ‘মব’ ভাগ হয়ে যাবে। যাঁরা মব সৃষ্টি করেন, তাঁরা নিজ নিজ এলাকায় চলে যাবেন। তখন একসঙ্গে এত লোক একত্রে আর পাওয়া যাবে না। যাঁরা মব সৃষ্টি করতে চান বা মব সৃষ্টি করবেন, তাঁরা নির্বাচনের সময় সুবিধা করতে পারবেন না।
আজ সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ট্র্যাসি এন জ্যাকবসনের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত দেশের বর্তমান ‘মব’ পরিস্থিতি এবং নির্বাচনের সময় এর প্রভাব এবং কমিশনের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি এমন জবাব দিয়েছেন বলে জানান সিইসি।
সিইসি নাসির উদ্দীন জানান, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি মূলত জানতে চেয়েছেন—নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতি কোন পর্যায়ে রয়েছে। যেহেতু ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের সম্ভাবনা রয়েছে। জবাবে তিনি বলেছেন, ‘আমরা ৫ আগস্ট মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকে নির্বাচনী চিঠি পাওয়ার পর থেকেই প্রস্তুতি জোরদার করেছি। যদিও তার আগেই বড় বড় কাজগুলো শুরু করে দেওয়া হয়েছিল, যেন প্রস্তুতির ঘাটতি না থাকে। নির্বাচন কমিশনকে যাতে কোনো ব্লেম (দোষ) দিতে না পারে।’
সিইসি বলেন, ‘পরিষ্কারভাবে জানিয়েছি, নির্বাচন কমিশন কোনো দোষ বা দায় নিতে রাজি না। অতীতে যেমন কমিশনের প্রস্তুতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, এবার আমরা এমন প্রস্তুতি নিচ্ছি যেন কেউ বলতে না পারে যে আমরা প্রস্তুত ছিলাম না। সরকার যখনই চাইবে, আমরা যেন নির্বাচন পরিচালনা করতে পারি, সেই লক্ষ্যেই কাজ করা হচ্ছে।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার জানান, বৈঠকে নির্বাচন আয়োজন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মনোভাবের বিষয়েও জানতে চাওয়া হয়েছিল। এ বিষয়ে কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অতীতে বিভিন্ন নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য থাকা সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত একটি সমঝোতায় পৌঁছেছিল। এবারও তারা আশাবাদী। রাজনৈতিক দলগুলো দেশের স্বার্থেই কাজ করে, তাই শেষ পর্যন্ত নির্বাচন নিয়ে একটি সমঝোতা হবে বলেও তিনি আশাবাদী বলে জানিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে সিইসি আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ইতিমধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছেন, যা একটি ইতিবাচক দিক। এ ছাড়া প্রধান উপদেষ্টা এত দিন যেভাবে নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিয়েছেন, এখনো তেমনই করছেন। এখনো পর্যন্ত তিনি (সিইসি) কোনো রাজনৈতিক প্রভাব বা চাপ অনুভব করেননি এবং সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে কাজ করছেন বলে যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতকে জানিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত নির্বাচন ও অন্যান্য বিষয়ে গুজব প্রসঙ্গে জানতে চেয়েছিলেন। সিইসি জানিয়েছেন, চারদিকে নানা ধরনের গুজব। এই দেশটা গুজবের দেশ। গুজব ম্যানুফ্যাকচার (তৈরি) করার জন্য অনেক ‘ইন্ডাস্ট্রি’গড়ে উঠেছে এখানে। গুজবে কান দিতে নেই। এ ছাড়া কমিশন কী কী সংশোধনী প্রস্তাব করেছে, সেগুলোও জানানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
নির্বাচনে কালোটাকা ব্যবহার প্রতিরোধের বিষয়ে সিইসি বলেন, ‘আমরা যথাসম্ভব ব্যবস্থা নিচ্ছি। পুরোপুরি বন্ধ করা কঠিন। তবে নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’
এবার প্রবাসীদের ভোট গ্রহণের ক্ষেত্রে বড় পরিসরে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে, যা অতীতে ছিল না বলে উল্লেখ করেছেন সিইসি। প্রবাসীদের ভোটাধিকারে অংশগ্রহণের সুযোগ তৈরি করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সাম্প্রতিক কমিশনের শুনানিতে একটি গোলযোগের বিষয়ে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘ওই ঘটনায় আমরা জিডি করেছি। পুলিশকে জানিয়েছি, অপরাধীদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে।’
যাঁরা গোলযোগ করেছেন, তাঁরা পরিচিত কেউ ছিলেন না বলেও জানান সিইসি। সবশেষে তিনি বলেন, ‘সব মিলিয়ে আমরা একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের জন্য সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
বাংলাদেশে নির্দিষ্ট কোনো রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তিকে
সমর্থন করে না যুক্তরাষ্ট্র: ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত
প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ((চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স) ট্র্যাসি এন জ্যাকবসন বলেছেন, বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকার কোনো রাজনৈতিক দল, ব্যক্তি বা নির্দিষ্ট ফলাফলের প্রতি সমর্থন জানায় না। এটি একান্তই বাংলাদেশের জনগণের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে।
আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসিরউদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ট্র্যাসি এন জ্যাকবসন। গত বছরের ৫ আগস্টের গণ–অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এই প্রথম সিইসির সঙ্গে বৈঠক করলেন মার্কিন দূতাবাসের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা।
ট্র্যাসি এন জ্যাকবসন বলেন, ‘অনেক গুজব ও ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাই আমি স্পষ্ট করতে চাই, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অবস্থান কী। আমরা অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগকে সমর্থন করি, যাতে আগামী বছরের শুরুতে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।’
যুক্তরাষ্ট্র সরকার কোনো রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করে না উল্লেখ করে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত জ্যাকবসন বলেন, ‘তবে তাদের লক্ষ্য ও অঙ্গীকার বুঝতে আমরা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করি। একইভাবে কোনো রাজনীতিককেও আমরা সমর্থন করি না, কিন্তু তাঁদের উদ্দেশ্য জানার জন্য তাঁদের সঙ্গে দেখা করি। আমরা কোনো ফলাফলকেই সমর্থন করি না—এটা একান্তই বাংলাদেশের জনগণের সিদ্ধান্ত।’
মার্কিন দূত আরও বলেন, ‘আমরা আশা করি, সেই নির্বাচন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে এবং বাংলাদেশের জনগণের স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটিয়ে একটি সফল গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করবে।’
শেষে বাংলাদেশে একটি সফল নির্বাচনের জন্য শুভকামনা জানান তিনি।

BANGLADESH বিভাগের অন্যান্য খবর

শিরোনাম ভিপি-জিএস-এজিএসসহ ২৩ পদে শিবিরের অসাধারণ বিজয় শিরোনাম প্রবাসীরা ভোটাধিকার পাচ্ছেন, ভোট দেবেন ডিজিটাল পোস্টাল ব্যালটে শিরোনাম কংগ্রেসের রাহুল-প্রিয়াঙ্কা মডেলে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আসছেন সজীব-সায়মা শিরোনাম শতাধিক স্মার্টকার্ড বিতরণ করতে সিইসি নাসির উদ্দিন এখন কানাডায় শিরোনাম শিবিরের জিএস প্রার্থীর বিরুদ্ধে রিটকারী ছাত্রীকে ‘গণধর্ষণের’হুমকি শিরোনাম কানাডার দায়িত্ব ছাড়ছেন আলোচিত হাইকমিশনার নাহিদা সোবহান