হিথ্রো বিমানবন্দরের পার্শ্ববর্তি বৈদ্যুতিক সাবস্টেশনে ভয়াবহ আগুন
নিকটস্থ একটি বৈদ্যুতিক সাবস্টেশনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ফলে বৃটেনের হিথ্রো বিমানবন্দর পুরোপুরি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়েছে পড়েছে। এর জেরে বিমানবন্দরটির সকল ফ্লাইট বাতিল করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। অগ্নিকাণ্ডে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় বৈশ্বিক সকল ফ্লাইট বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এতে বলা হয়, ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ফলে শুক্রবার পুরো বিমানবন্দর বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এদিকে আগুন নেভাতে একাধিক দমকলকর্মী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছেন। লন্ডন ফায়ার ব্রিগেড জানিয়েছে যে, আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে ইতিমধ্যেই ৭০ জন দমকলকর্মী কাজ করছেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে কিছুটা সময় লাগবে বলে জানানো হয়েছে।
ইউরোপের ব্যস্ততম পাঁচটি বিমানবন্দরের একটি এই হিথ্রো বিমানবন্দরে ব্যাপক বিভ্রাট দেখা দেয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। আশপাশের এলাকার কয়েক হাজার মানুষও বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। ওই বৈদ্যুতিক সাবস্টেশন লাগোয়া ভবনগুলো থেকে দেড় শতাধিক মানুষকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। ছড়িয়ে পড়া অগ্নিকাণ্ডের ভিডিওতে কমলা রঙের বিশাল আগুন ও ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখা গেছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন আশপাশের মানুষ।
অগ্নিকাণ্ডের সঠিক কারণ জানতে পারেনি ফায়ার ব্রিগেড। হিথ্রো বিমানবন্দরের এক্সের পোস্টে বলা হয়েছে, যাত্রী এবং কর্মকর্তাদের সুরক্ষার জন্য ২১শে মার্চ পুরো দিন হিথ্রোর কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হলো। যাত্রীদের বিমানবন্দরে ভ্রমণ করতেও নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। ফ্লাইট ট্রাকিং ওয়েবসাইট ফ্লাইটরাডার ২৪ এর তথ্যানুসারে, হিথ্রোতে আসা ১২০টির বেশি ফ্ল্যাইট অন্য বিমানবন্দরে ঘুরিয়ে দেয়া হয়েছে। শুক্রবার বিমানবন্দরটিতে এক হাজার ৩৫১টি ফ্লাইট অবতরণ এবং উড্ডয়নের কথা ছিল।
বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দরগুলোর একটি হিথ্রো। এটি একদিন বন্ধ থাকা মানে পর্যটন, ভ্রমণ এবং বাণিজ্যে বিশাল ধাক্কা খাবে বৃটেন। এর জেরে বৈশ্বিকভাবেও এই খাতগুলো ব্যাহত হবে বলে ধারণা বাণিজ্য বিশেষজ্ঞদের। তারা বলছেন, ফ্লাইটগুলো বাতিল হওয়ায় বৈশ্বিকভাবে উক্ত খাতগুলো সাময়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
শুক্রবার হিথ্রোতে বৃটিশ এয়ারওয়ের ৩৪১টি ফ্লাইট অবতরণের কথা ছিল। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এটা স্পষ্ট যে অগ্নিকাণ্ডের ফলে একদিন বিমানবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় গ্রাহকদের উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে। যতদ্রুত সম্ভব বিমানবন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তারা। ভ্রমণের বিকল্প পথ খুঁজে যাত্রীদের ভোগান্তি কমানোর চেষ্টার কথাও জানানো হয়েছে।