দেশে প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ বা রেমিট্যান্স প্রবাহ আগস্ট মাসে ৩৯.৬২ শতাংশ বেড়েছে এবং রেমিট্যান্সের পরিমাণ দাঁড়ায় ২.২২ বিলিয়ন ডলার। ২০২৩ সালের আগস্টের যে রেমিট্যান্স এসেছিল তার থেকে ১.৫৯ বিলিয়ন ডলার বেশি।
রবিবার পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্যে দেখা যায়, জুলাই মাসের তুলনায় আগস্ট মাসে রেমিট্যান্স বেড়েছে ১৬.২৩ শতাংশ, জুলাই মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ১.৯১ বিলিয়ন ডলার। জুলাই মাসে বৈষম্য-বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, কারফিউ এবং কয়েকদিন ব্যাংক বন্ধ থাকার কারণে জুলাইয়ে রেমিট্যান্স কম এসেছে। তাছাড়া আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে প্রবাসীদের অনেকে রেমিট্যান্স না পাঠানোর ঘোষণা দেয়, এর প্রভাবও পড়েছিল।
বিগত ৪৭ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল চলতি বছরের জুন মাসে, রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ২.৫৪ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২৩ সালের জুন মাসের তুলনায় ১৬ শতাংশ বেশি। বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকতারা বলেন,আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে রেমিটান্সের প্রবাহ কম ছিল, আগস্টের সাত তারিখ থেকে তা বাড়তে থাকে। পরবর্তী ২৩ দিন রেমিট্যান্স প্রবাহে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়।
ছয়টি রাষ্ট্রাত্ত ব্যাংক অগ্রণী, জনতা, রূপালী, সোনালী, বেসিক ও বিডিবিএল এর মাধ্যমে এসেছে ৩৪৩.৪৬ মিলিয়ন ডলার, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৭৮.১২ মিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে অগ্রণী ব্যাকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৯৬.৮৯ মিলিয়ন ডলার, জনতা ব্যাংকে এসেছে ১৫৫.৮৮ মিলিযন ডলার, রূপালী ব্যাংকে এসেছে ১০০.৬৫ মিলিয়ন ডলার, সোনালী ব্যাংকে এসেছে ২৯.৯৬ মিলিয়ন ডলার, বেসিক ব্যাংকে .০৭ মিলিয়ন । ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৪০৫.২৩ মিলিয়ন ডলার, যেটা একক ব্যাংক হিসেবে সর্বোচ্চ। এছাড়া বিভিন্ন বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ১৭৫৫.০৪ মিলয়ন ডলার।