ঢাকা, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫
The News Diplomats
ডয়চে ভেলে :
Publish : 06:34 AM, 25 April 2025.
Digital Solutions Ltd

এনসিপি নেতাদের দুর্নীতি ও বিতর্কিক কর্মকাণ্ডে সমর্থকরাও হতাশা

Publish : 06:34 AM, 25 April 2025.
এনসিপি নেতাদের দুর্নীতি ও বিতর্কিক কর্মকাণ্ডে সমর্থকরাও হতাশা

দুই উপদেষ্টার এপিএস ও এনসিপি নেতার সরে যাওয়া কি যথেষ্ট?


অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টার এপিএসের বিদায় এবং তরুণদের নতুন দল এনসিপির এক নেতার সাময়িক অব্যাহতি আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে৷ তারা সবাই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সম্পৃক্ত ছিলেন৷ বিশ্লেষকরা বলছেন, দুর্নীতির অভিযোগের যথাযথ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। শুধু চাকুরিচ্যুতি, সাময়িক অব্যাহতি বা পদত্যাগ প্রশ্নাতীত সমাধান নয়৷
দীর্ঘদিন ধরেই নানা অনিয়মের অভিযোগ ছিল যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সহকারি একান্ত সচিব (এপিএস) মো. মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে৷ আর স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মুহাম্মদ তুহিন ফারাবীর বিরুদ্ধেও আছে নানা অনিয়মের অভিযোগ৷ জানা গেছে, ওই দুইজনই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছিলেন৷ দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে৷
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম সদস্য সচিব গাজী সালাহউদ্দিন তানভীরকেও তদবির ও কমিশন বাণিজ্যের অভিযোগে দল থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেয়া হয়েছে৷ তার বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগে তদবির-বাণিজ্য এবং পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের ৪০০ কোটি টাকার টেন্ডার বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে৷
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন এই বিষয়ে বলেন, ‘‘তানভীরের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা কমিটি এখন তদন্ত করছে৷ তদন্ত শেষ হলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে৷''
এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সম্পৃক্ত আরো কিছু নেতার বিরুদ্ধেও অভিযোগ উঠছে৷ নিজ এলাকায় সারজিস আলমের শতাধিক গাড়ির বহরের মহড়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তার দলেরই আরেক নেতা ডা. তাসনিম জারা৷
সারজিস আলম ওই প্রশ্নের জবাবে তখন গাড়িগুলো তার আত্মীয়-স্বজনরা দিয়েছেন বলে দাবি করেন৷ গাড়ি ব্যবহার বিষয়ক আরেক আলোচনার জবাবে আব্দুল হান্নান মাসউদ দাবি করেছেন, তার বিলাসবহুল গাড়িটি জামায়াতের এক ব্যবসায়ী নেতা তাকে দিয়েছেন৷
এনসিপি আত্মপ্রকাশের দিন মানিক মিয়া এভিনিউতে জমকালো সমাবেশ এবং পাঁচতারা হোটেলে দলটির ইফতার পার্টিতে খরচের উৎস নিয়েও প্রশ্ন আছে৷ দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম দল চালাতে বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ‘ডোনেশন' নেয়ার কথা বলেছেন৷ তবে তারা কত টাকা নিয়েছেন এবং কাদের কাছ থেকে নিয়েছেন তা এখনো প্রকাশ করেননি৷ এছাড়া আরো কয়েকজন নেতার বিলাসবহুল গাড়ি ব্যবহার, রাতারাতি জীবনধারার পরিবর্তন, হেলকিপ্টারে ভ্রমণ প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে৷
দুর্নীতি রুখতে দুদককে চায় এনসিপি
মনিরা শারমিন বলেন, ‘‘যাদের বিরুদ্ধেই আমরা অভিযোগ পাবো, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবো৷ আর আমরা নিজেরাও কোনো তথ্য পেলে তা আমলে নেবো৷ বিতর্কিত কর্মকাণ্ডও তদন্তের আওতায় আসবে৷''
তিনি বলেন, ‘‘জামায়াত নেতার কাছ থেকে গাড়ি নেয়াকে আমরা কোনোভাবেই নৈতিক মনে করি না৷ এলাকায় নেতাদের কাছে কর্মীরা যেতেই পারেন৷ কিন্তু গাড়ি বহরের মহড়া প্রশ্নের সৃষ্টি করে৷ আমরা আরো কিছু ব্যাপার তদন্ত করছি৷ আমরা আরো সতর্ক হবো৷ কমিটিতে নতুন কাউকে নিলে তার ব্যাপারে বিস্তারিত খোঁজ নেবো৷ আমরা একটি ফরম তৈরি করেছি৷ ওই ফরমে তার সম্পদের ডিক্লারেশন দিতে হবে৷ পরে আমরা তা তুলনা করে দেখবো৷'' তিনি বলেন, ‘‘উপদেষ্টাদের এপিএসদের বিষয় তো উপদেষ্টাদের৷ তবে তারা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছিলেন৷''
‘‘আসলে এখানে দুর্নীতি দমন কমিশন ভূমিকা রাখতে পারে৷ তারা যদি কাজ করেন, আমাদের কোনো আপত্তি নেই৷''
আরেক আহ্বায়ক সরোয়ার তুষার বলেন, ‘‘সরকারের মন্ত্রী বা উপদেষ্টার পদ অনেক পাওয়াফুল৷ তাদের নাম ব্যবহার করে অনেক কিছু করা যায়৷ এখন দুই উপদেষ্টার যে দুইজন এপিএসকে অব্যাহতি দেয়া হলো, এখানেই শেষ হলে হবে না৷ সরকারের কাছে আমাদের আহ্বান থাকবে- ওই দুই জনের বিরুদ্ধে সঠিক তদন্ত করা হোক৷ সেটা হলে আমরা তখন জানতে পারবো তাদের দুর্নীতি-অনিয়মের সঙ্গে উপদেষ্টারাও জড়িত কিনা৷''
তিনি বলেন, ‘‘আমরা আমাদের দলেও সিস্টেম তৈরি করছি, যাতে কেউ দুর্নীতি বা অনিয়ম করলে ধরতে পারি৷ আর আমরা যে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের কথা বলছি, সেখানেও প্রচলিত রাজনৈতিক চিন্তার লোক ঢুকে পড়ছে৷ ফলে কোথাও কোথাও বিচ্যুতি দেখতে পাচ্ছি৷''
তিনি আরো যোগ করেন, ‘‘যেমন ঈদের সময় অন্য রাজনৈতিক দলের নেতারা এলাকায় যা করেছেন, আমাদের কেউ কেউ প্রচলিত রাজনৈতিক চিন্তা থেকে একই কাজ করেছেন৷ আমাদের ওই ধারা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে৷ তাই আমরা এখন নির্বাচনি প্রচার চালাতে নিষেধ করে দিয়েছি৷''
তানভীরের অস্বীকার, মোয়াজ্জেম চান স্থায়ী চাকুরি
অভিযোগের ব্যাপারে এনসিপির গাজী সালাহউদ্দিন তানভীর ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘জেলা প্রশাসক নিয়োগ নিয়ে যে অভিযোগের কথা বলা হচ্ছে, এটা নিয়ে সরকার আগেই তদন্ত করেছে৷ তখন সংস্থাপন সচিবের কিছু কথিত হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ভাইরাল হয়েছিল৷ অভিযোগের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি৷ আর আমি কোনোভাবেই ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যুক্ত ছিলাম না৷ আমরা কয়েকজন ওই নিয়োগের সময় দুই-একবার সচিবালয়ে গিয়েছিলাম আমাদের দাবি জানাতে, যাতে ফ্যাসিবাদের সহযোগী, দুর্নীতিবাজ কাউকে নিয়োগ দেয়া না হয়৷ তখন তাদের সঙ্গে আমার নাস্তা করার একটি ছবি ফেসবুকে ভাইরাল করা হয়৷''তিনি বলেন, ‘‘পাঠ্যপুস্তকের ৪০০ কোটি টাকার টেন্ডার নিয়ে যে অভিযোগ তা-ও সত্য নয়৷ কারণ, আমরা কোনো আর্থিক প্রক্রিয়ায় যুক্ত ছিলাম না৷ যাতে সহজে কাগজ পাওয়া যায়, তাতে সহযোগিতা করছিলাম৷ বোর্ডের চেয়ারম্যান নিজেও সংবাদ সম্মেলন করে সেই কথা বলেছেন৷''
তানভীর দাবি করেন, ‘‘ওই কাগজের ব্যাপারে আমি কয়েকটি শিল্প গ্রুপকে শক্ত কথা বলেছিলাম৷ এখন মনে হচ্ছে, আমি সেই কারণে ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছি৷''
তিনি বলেন, ‘‘আমি পাঠ্যপুস্তক নিয়ে ঢাকা পোস্টের রিপোর্টের ব্যাপারে মানহানির মামলা করেছি৷ আর শুক্রবার আমি আমার সংগঠনের শো-কজের লিখিত জবাব দেবো৷''
যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সহকারি একান্ত সচিব (এপিএস) মো. মোয়াজ্জেম হোসেন এক ফেসবুক পোস্টে দাবি করেছেন, তাকে অপসারণ করা হয়নি৷ স্থায়ী চাকরির চেষ্টা করছেন তিনি৷ এজন্য পদত্যাগ করেছেন৷
গণমাধ্যমে তার পদত্যাগকে ‘অপসারণ' হিসেবে ভুলভাবে উত্থাপন করা হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি৷
মোয়াজ্জেম বলেন, ‘‘আমি ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা পাস করি৷ একইসাথে ব্যাংকের অফিসার ক্যাশের প্রিলি পাস করি৷ জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সময় আমার ব্যাংকের লিখিত পরীক্ষা হয় এবং আমি অংশগ্রহণ করি৷ আন্দোলন পরবর্তী সরকারে আসিফ মাহমুদ দায়িত্বে আসার পর আমাকে কাজ করার অফার করা হলে আমি স্পষ্টভাবে বলি- আমার স্থায়ী ক্যারিয়ারের প্রশ্নে যে-কোন সময় চাকরি ছেড়ে দিব৷''
যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সহকারি একান্ত সচিব (এপিএস) মো. মোয়াজ্জেম হোসেন ফেসবুক পোস্টে আরো লিখেন, ‘‘গত ১০ মার্চ ২০২৫ ব্যাংকের লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করলে আমি উত্তীর্ণ হই৷ এরপর বিসিএস লিখিত পরীক্ষার তারিখ নির্ধারিত হয় ৮ মে এবং ব্যাংকের ভাইভার তারিখ ২২ মে৷ তাই আমি গত মার্চের ২৫ তারিখে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের কাছে পদত্যাগপত্রটি জমা দিই৷ উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ৮ এপ্রিল পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেন এবং যেহেতু নিয়োগ প্রদান ও বাতিল রাষ্ট্রপতি কর্তৃক হয়ে থাকে, এজন্য গত ২২ এপ্রিল প্রজ্ঞাপন হয়েছে৷ এরপর গণমাধ্যমে পদত্যাগকে অপসারণ হিসেবে ভুল ভাবে উত্থাপন করা হয়৷''
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মুহাম্মদ তুহিন ফারাবীর কাছে তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পর্কে বক্তব্য জানতে ফোন করা হয়েছিল, তবে তাকে পাওয়া যায়নি৷
কঠোর পদক্ষেপের দাবি
শীর্ষ পর্যায়ের নেতা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন এলাকায় বৈষম্যবিরোধী নেতাদের কেউ কেউ স্থানীয়ভাবে চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে৷ তাদের ওই ধরনের অপরাধের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হচ্ছে৷ চাকরি ও টেন্ডারের তদবিরেও তাদের নাম যুক্ত হচ্ছে৷ ঢাকা ওয়াসাসহ আরো কিছু জায়গায় তাদের চাপে লোক নিয়োগের অভিযোগ আছে৷ প্রশ্ন আছে, বৈষম্যবিরোধীদের অনুষ্ঠানের খরচের বিল ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের পরিশোধের দাবি নিয়েও৷
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. জাহেদ উর রহমান বলেন, ‘‘দুইজন উপদেষ্টার এপিএসকে সরানো হলো৷ এনসিপির এক শীর্ষ নেতাকে সাময়িক অব্যাহতি দেয়া হলো৷ ওই নেতার বিরুদ্ধে তাদের দলই তো দুর্নীতির অভিযোগ করছে৷''
তিনি বলেন, ‘‘দুই এপিএসের দুর্নীতির কথা তাদের উপদেষ্টারা না বললেও তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে জনপরিসরে যথেষ্ট কথা আছে৷ সরকারের উচিত ছিল, ওই দুই এপিএসের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে একটি বেঞ্চমার্ক তৈরি করা৷ কিন্তু সেটা দেখছি না৷''
তিনি আরো বলেন, ‘‘তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে যদি দুই উপদেষ্টার দুর্নীতিও পাওয়া যায়, তাহলে ব্যবস্থা নেয়া৷ কিন্তু সরকার বা দুদক তো তা করছে না৷ তাহলে শুধু অব্যাহতি দিয়ে কি দুর্নীতি ধামাচাপা দেয়া হচ্ছে?৷''

‘‘আর নতুন যে রাজনৈতিক দল এনসিপি, তারা নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের কথা বলছে৷ কিন্তু তারা প্রচলিত রাজনৈতিক দলের মতোই আচরণ করছে৷ তারা একজন নেতার দুর্নীতি প্রাথমিকভাবে স্বীকার করছে৷ কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে আরো অনেক ধরনের অভিযোগ আছে৷ সেই অভিযোগ তুললে তারা আবার অন্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তুলনা করছে৷ ফলে তাদের প্রতি মানুষের যে প্রত্যাশা, সেই জায়গায় ঘটতি তৈরি হচ্ছে,'' বলেন তিনি৷
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)-এর নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘‘বাংলাদেশে যে নতুন সম্ভাবনা ও আশার সূত্রপাত হয়েছে এবং যার নেতুত্বে ছাত্র-তরুণরা, তাদের মধ্যে যদি বিচ্যুতি ঘটে, তা দুঃখজনক৷ ৫ আগস্টের পর থেকেই আমরা দেখছি দখলদারি, পাল্টা দখলদারি, চাঁদাবাজি৷ সেখানে তারা যুক্ত হলে তো হতাশ হতে হয়৷''
তিনি বলেন, ‘‘সরকারের দুইজন উপদেষ্টার এপিএসকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে৷ কিন্তু আমার মনে হয়, কারো অভিযোগের জন্য অপেক্ষা না করে দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্ত শুরু করা উচিত৷ এনসিপি নেতার বিরুদ্ধেও দুদকের তদন্ত করা উচিত৷''
ড. ইফতেখারুজ্জামান আরো বলেন, ‘‘দায় তো উপদেষ্টাদের দিকে যায়৷ যে উপদেষ্টাদের অধীনে দুই এপিএস কর্মরত ছিলেন, ওই দুই উপদেষ্টা তো দায় এড়াতে পারেন না৷ তারা যেন নিজেদের উদ্যোগেই দুর্নীতি দমন কমিশনকে তদন্তের অনুরোধ করেন৷ তাহলে কারা কারা জড়িত, তা বেরিয়ে আসবে৷ তবে তাদের সম্মতিতেই দুই এপিএসকে সরানো হয়েছে- এটা ভালো উদ্যোগ৷''
নজর রাখছে দুদক?
দুদক তদন্ত করবে কিনা জানতে চাইলে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক প্রতিষ্ঠানটির এক কর্মকর্তা ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আমাদের কাছে সরাসরি কোনো অভিযোগ আসেনি৷ তবে আমরা নিজেরাই বিষয়গুলোর ওপর নজর রাখছি৷ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য আমলে নিয়ে আমরা তদন্ত করতে পারি৷''
দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন বৃহস্পতিবার দুপুরের পর দুদক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘‘দুই উপদেষ্টার সহকারি একান্ত সচিব (এপিএস)-এর দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে আইন মেনেই সিদ্ধান্ত নেবে দুদক৷ তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ অভিযোগের প্রমাণ পেলে ছাড় দেয়া হবে না৷''

https://vodbangla.com/details.php?newsid=722

BANGLADESH বিভাগের অন্যান্য খবর

শিরোনাম ভারত-পাকিস্তান চাইলে মধ্যস্থতার ভূমিকা পালন করতে পারে বাংলাদেশ শিরোনাম রপ্তানি, প্রবাসী আয় ও রিজার্ভ বৃদ্ধি সত্ত্বেও ‘অতি গরিব’ বাড়বে শিরোনাম রাজনৈতিক দলে সংস্কারের জরুরি আলাপ কেউই করছে না শিরোনাম এনসিপি নেতাদের দুর্নীতি ও বিতর্কিক কর্মকাণ্ডে সমর্থকরাও হতাশা শিরোনাম Trump poised to offer Saudi Arabia over $100 billion arms package শিরোনাম পাকিস্তানি অভিনেতা ফাওয়াদের ছবি নিয়ে বিতর্ক, কাশ্মীরে হামলার জের