সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভিসা ইস্যুতে প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্য
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশিদের ভিসা বন্ধ করার বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি সংযুক্ত আরব আমিরাত। তিনি বলেন, দুবাইয়ে আন্দোলন করে প্রবাসীরা আইন অমান্য করে বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে।
বুধবার (২৪ জুলাই) প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে সাম্প্রতিক দুবাই ভিসা বন্ধের বিষয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আরব আমিরাতের বাংলাদেশ দূতাবাস ও ঢাকায় আরব আমিরাতের দূতাবাসে খোঁজ নিয়েও ভিসা নিষেধাজ্ঞার তথ্য পাওয়া যায়নি বলে জানান প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে, তারা এমন কিছু জানে না। বাংলাদেশে নিযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গেও কথা বলেছেন, তিনিও কিছু জানাননি।
তবে আরব আমিরাতের ভিসা বন্ধের খবরটি কি ভিত্তিহীন—এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের কাছে এমন কোনো খবর আসেনি, কোনো চিঠিও আসেনি।’ তিনি আরও বলেন, ‘দেশে যেভাবে মেট্রোরেলসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে, বিদেশেও তারাই বাংলাদেশের শ্রমবাজার ধ্বংস করার জন্য একই কাজ করেছে। ১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধী জামায়াত ও বিএনপির প্রেতাত্মারা দুবাইয়ে আন্দোলন করে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে।’
আরব আমিরাতে আটক বাংলাদেশের নাগরিকদের আইনি সহায়তা দেওয়া হবে কি না, জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশটির আইন ভঙ্গ করায় তাদের বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি হয়েছে। এখানে সরকার কোনো হস্তক্ষেপ করবে না। এটি তাদের রাষ্ট্রীয় বিষয়।
এর আগে গেল সোমবার বিবিসির অনলাইনে প্রকাশিত এক সংবাদ বলছে, জননিরাপত্তায় হুমকি, আইনশৃঙ্খলায় প্রতিবন্ধকতা এবং রাষ্ট্রীয় ও ব্যক্তিগত সম্পদ ক্ষতির শঙ্কা তৈরি করায় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দেশটির পুলিশ তাদের সতর্ক করলেও বিক্ষোভকারীরা থামেনি। এ কারণে তাদের আটক করে আদালতে সোপর্দ করা হয়। আরব আমিরাতের আদালত ৫৩ জনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। তিনজনের যাবজ্জীবন ও একজনের ১১ বছরের শাস্তি হয়েছে। শাস্তির মেয়াদ শেষ হলে তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে।
Editor in Chief
Dulal Ahmed Chowdhury
News
Email: news@newsdiplomats.com
Advertisement
Email: ads@newsdiplomats.com
© The_News_Diplomats || Published from Canada.